করোনা রোধে অকাল দুর্গাপুজো : উৎসাহ উদ্দীপনায় সামিল গ্ৰামবাসীরা

7th April 2021 11:52 am বাঁকুড়া
করোনা রোধে অকাল দুর্গাপুজো : উৎসাহ উদ্দীপনায় সামিল গ্ৰামবাসীরা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   এ যেন 'অকাল বোধনে'র অকাল বোধন। পুরাণ মতে, সীতা উদ্ধারে শ্রীরামচন্দ্রের অকাল বোধনের সঙ্গে পরিচিত আমরা। এবার পাত্রসায়রের রামপুর নতুন বাজারের মানুষের সৌজন্যে সাক্ষী থাকলেন 'অকাল বোধনে' অকাল বোধনের।

    চলতি করোনা মহামারি থেকে গত বছর এখানকার মানুষ শুরু করেন এক দিনের দূর্গোৎসব। এবারও সেই ধারাবাহিকতা মেনে শুরু হলো পুজো। বুধবার বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, ঢাকের বাদ্য সহযোগে পুজার্চনা শুরু হলো। সঙ্গে বিশ্ববাসীর মঙ্গলকামনা ও করোনামুক্তির আবেদন জানালেন পুজো উদ্যোক্তারা।

   একদিকে নির্বাচনী উত্তাপ, সঙ্গে চৈত্রের কাঠফাটা রোদের উত্তাপ সব কিছুকেই উপেক্ষা করে এই দুর্গাপুজোকে ঘিরে উৎসবমুখর এখানকার মানুষ। বড়দের সঙ্গে ছোটোরাও মেতে উঠেছে আনন্দ উৎসবে। এখানে উপস্থিত রুমা বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকেই আমরা মণ্ডপে হাজির। পুজো চলছে। অঞ্জলী দেওয়ার জন্য সকাল থেকে তিনি উপবাসেও আছেন বলে জানান।

   পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য কমল মণ্ডল বলেন, রামপুর নতুন বাজার সার্বজনীন দুর্গা পুজা কমিটির পক্ষ থেকে করোনা মহামারি থেকে মুক্তির আশায় গত বছর আমরা এই পুজো শুরু করেছি। দেবী দুর্গার কৃপায় খুব শীঘ্রই এই অতিমারী থেকে বিশ্ব সংসার মুক্ত হবে বলে তাঁরা আশাবাদী বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।